টিকটকে এবার ভারত সরকার, চিন বিরোধী নিতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : সারা বিশ্বে মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে চিনের দিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে আঙুল তুলেছে বহু দেশ। আমেরিকা তো এবিষয়ে সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছে চিনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, ইউহানের ল্যাবই নাকি তৈরি করা হয়েছে করোনার জীবানু। আর সেই ল্যাব থেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই ভবাইরাস। এর জেরে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যপক সমালোচিত হতে হয়েছে চিনকে। ভারতের তরফেও চিনের করোনা ভাইরাস ছড়ানোর বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু করোনা নয়, লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনাদের শক্তি বৃদ্ধি করায় ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা। যার জেরে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। সমগ্র ভারতবাসীও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে চিনা অ্যাপ থেকে শুরু করে চিনা পণ্য বয়কট করবেন বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল এক চাঞ্চল্যকর বিষয়। 

চিনা দ্রব্যে ভরপুর ভারতের বাজার। তাই ভারত চিনা দ্রব্য বর্জন করলে আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে পারে চিন। কিন্তু সেদিকে আলোকপাত না করেই ভারত-চিন সীমান্তে ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে জিংপিং সরকার।করোনা আবহে দেশবাসীকে ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশজ পণ্যের ওপর আস্থা রাখার কথাও বলেছেন তিনি। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যেও দেশের সরকার যদি নিজে চিনা দ্রব্য বয়কট না করেন, তাহলে দেশবাসীর পক্ষে তা কীভাবে সম্ভব! চিনা অ্যাপ টিকটকে ভারত সরকারের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই উঠে আসছে এমন সমস্ত প্রশ্ন। অনেকেই আবার মোদী সরকারের এই চিনবিরোধী নীতিকে ‘জুমলা’ বলেও দাবি করেছেন।

ভরতে টিকটকের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। কিন্তু ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতির পরেই ভারত সরকার একটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসাবে একটি অ্যাপ আনে। যদিও গুগল প্লে-স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে টিকটকে খোদ ভারত সরকারের অ্যাকাউন্ট দেখে রীতিমতো প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন দেশবাসী। তবে শুধু অ্যাকাউন্ট আছে তাই নয়, এই অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার ৯ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। তবে এই অ্যাকাউন্ট থেকে বেশিরভাগই যোগ ব্যায়াম বিষয়ক বা করোনা সতর্কতা বিষয়ক ভিডিও প্রচার করা হয়। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের তরফে জানানো হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহজে প্রচার করার স্বার্থেই এই অ্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই অনেকে সেই অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার দাবি তুলেছেন। তাঁদের কথায় সরকারের এই অ্যাকাউন্টের জন্য দেশবাসীর মনে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। আর তাই আত্মনির্ভর ভারত গড়তে হলে এই টিকটক অ্যাকাউন্টটি দেশের সরকারকে ডিলিট করতে হবে।

 

 

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube