
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। জিএসটি লাগু হলে রাজ্যগুলি যেহেতু আর নতুন করে কোনও কর বসাতে পারবে না তাই কেন্দ্র সরকার পরবর্তী পাঁচ বছর রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে। কিন্তু চলতি অর্থবর্ষে এখনও সেই ক্ষতিপূরণ পায়নি রাজ্যগুলি। উল্টে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ শুনিয়ে দিয়েছেন, করোনা নাকি ভগবানের মার। তাই লকডাউনের জেরে চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অর্থনীতি। তাই নাকি কেন্দ্র জিএসটির ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না। এবার নির্মলার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকা পাল্টা আক্রমণ করলেন বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত রায়। তিনি জানিয়ে দিলেন, জিএসটির ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার মর্জিটা ভগবান নয় প্রবঞ্চকের মার।
জিএসটি নিয়ে রবিবারে অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রের একাধিক বিষয় নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন। অমিত মিত্র এ দিন সাফ জানান, জিএসটির ক্ষতিপূরণ না মিটিয়ে যে ভাবে রাজ্যকে ধার করতে বলা হচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে। আসলে কেন্দ্র চাইছে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে কেন্দ্রীয়করণের পথে হাঁটতে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের প্রস্তাব মানতে নারাজ বলে এদিন স্পষ্ট করে দেন অমিত মিত্র। জিএসটি পরিষদে নির্মালা জানিয়েছিলেন, চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি থাকা রাজ্যগুলির থেকে আয় কম হবে। এর মধ্যে সেস থেকে আয় রয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা কেন্দ্রের পক্ষে মেটানো সম্ভব নয়, সেটা ঋণ নিতে পারে রাজ্য। অথবা জিএসটি চালুর জন্য ক্ষতি ৯৭ হাজার টাকাও ঋণ নিতে পারে। কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে কোভিড। আর কোভিড ‘ভগবানের মার’। এভাবেই ব্যাখ্যা করেছিলেন নির্মলা।
নির্মলার এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রায় সব রাজ্যই। এমনকি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে বেঁকে বসেছে। সেটাকেই হাতিয়ার করে এগোতে চাইছেন অমিত মিত্র। এদিন তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে সব রাজ্যকে এগিয়ে আসতে হবে। ক্ষতিপূরণ এড়াতে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামত লিখিতভাবে কেন জানানো হল না? তাহলে তো রাজ্য সরকারগুলিও আইনি মতামত নিতে পারত।’ একই সঙ্গে এটাও লক্ষণীয় যে পঞ্জাব, কেরল আর দিল্লির অর্থমন্ত্রীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের এই প্রস্তাব তাঁরা মানছেন না। একই পথে হাঁটতে পারে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিও। শুধু তাই নয় প্রয়োজনের এই রাজ্যগুলি জিএসটি পরিষদ থেকে বেড়িয়ে আসার চিন্তাভাবনাও শুরু করে দিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ না মিললেই আগামী বছর দেশের বেশ কিছু রাজ্য জিএসটি পরিষদ ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
- লকআপ থেকে উধাও বন্দী - January 8, 2023
- নতুন বছরে সিদ্ধি বিনায়কে ভিকি-ক্যাটরিনা - January 6, 2023
- মেসির সংসার, হাতে বিশ্বকাপ, পাশে ১০ নম্বর জার্সিতে পরিবার - December 19, 2022