ছেলে বিজেপি কর্মী তাই বৃদ্ধ মা পেলেন না মুখ্যমন্ত্রীর বার্ধক্য ভাতা

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : ।।শুভময় জানা ।।

বয়সের ভারে কোমর নুইয়ে পড়েছে, কোনো প্রকার লাঠি হাতে অতি কষ্টে পথ চলতে হয় তাঁকে। তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্মদাত্রী মা পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার জয়রামচক গ্রামের বাসিন্দা ৮০ উর্দ্ধ বয়সী কানন নায়েক। বড় ছেলের মৃত্যু হয় বছরখানেক আগে। ছোট ছেলের বাড়িতে ঠাঁই মেলেনি তাঁর।  কোনোপ্রকার মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন মেজো ছেলের কাছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেও দুবেলা খাওয়া ছাড়া অন্য কোন কিছুর জন্য ছেলেকে বলতে পারছেন না।নিজেও বার্ধক্য ভাতা না পাওয়ায় সমস্যায় রয়েছেন তিনি।

কানন দেবীর মেজো ছেলে সুকুমার নায়েক চাষবাস করে সংসার চালান, বিজেপির কর্মী। আর এই বিজেপি কর্মী হওয়ার কারণেই শাস্তি ভোগ করছেন তাঁর বৃদ্ধা মা। তাঁকে সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সামান্য বার্ধক্য ভাতা থেকে বঞ্চিত তিনি। প্রতিবন্ধী এক মেয়েকে নিয়ে মেজো ছেলের বাড়িতে থাকেন বৃদ্ধা কানন নায়েক। বেশ কয়েক বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন তিনি,এই বয়সে চিন্তার শেষ নেই।

তাঁর একদিকে যেমন বয়সের কারনে হাইপ্রেসার,সুগার বাসা বেঁধেছে শরীরে, অন্যদিকে প্রতিবন্ধী এক মেয়েকে নিয়ে চিন্তায় দিন কাটছে তাঁর। তবু মেজো ছেলের কাছে লজ্জায় চাইতে পারছেন না তেমন কিছু, কারন কোনোরকম চাষের জমিতে খাটাখাটনি করে সংসার চালায় মেজো ছেলে সুকুমার নায়েক, তিনিও ‌বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার যোগ্য, তাঁকেও বঞ্চিত করা হয়েছে বিজেপি করার কারণে। ৮০উর্দ্ধ বৃদ্ধা কানন নায়েক আশায় তাকিয়ে রয়েছেন সরকারি বার্ধক্য ভাতার দিকে,ওই টাকায় হয়তো একটু ওষুধ, দুধ ও ফল কিনে খেতে পারতেন। এই শেষ বয়সে কবে পাবেন বার্ধক্য ভাতা সেই আশায় রয়েছেন তিনি।

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube