চিন সীমান্তে পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রের তরফ থেকে সম্পুর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হল সেনাবাহিনীকে

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক :  ৪৫ বছর পর ফের মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে ভারত – চিন সেনা। এই সংঘর্ষে গোলাগুলি না চললেও মৃত্যু হয়েছে ২০ জন ভারতীয় সেনার।  এরপর জানা ‌যায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জন চিনা সেনারও।

সংঘর্ষের খবর প্রথম ‌যখন আসে, তখন প্রাথমিক ভাবে সেনা সূত্রে জানা ‌যায় সংঘর্ষের মৃতের সংখ্যা ৩। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ফের এএনআই এর তরফ থেকে জানানো হয়, সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২০ জন সেনার। এই খবর প্রকাশ হওয়ার পরই সোমবার মধ্যরাতে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, ‌যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতই সীমান্তে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য সমস্ত স্বাধীনতা দেওয়া হবে ভারতীয় সেনাকে।

এছাড়া চিনের সাথে ‌যে সমস্ত সীমান্ত অঞ্চল ভারতের আছে, সেই সমস্ত অঞ্চলে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। লাদাখের সাথে সাথে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখন্ডে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। সীমান্ত অঞ্চলে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার ফোর্সকেও পূর্ণ নজরদারীতে রাখা হয়েছে।

সোমবার প্রথমে ৩ জন সেনা মৃত্যুর খবর প্রকাশের পরই দু’দফার বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং বিদেশ মন্ত্রী। এই বৈঠকে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ এবং ৩ বাহিনীর প্রধানও ছিলেন। প্রথমে দুপুরে সাউথ ব্লকে, এবং পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংএর বাড়িতে।  

বুধবার সকালেও ফের বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সঙ্গে আছেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। একদিকে ‌যেমন সীমান্তের প্রতিমুহুর্তের খবর রাখা হচ্ছে তার সাথে সম্প্রতি চিনের সাথে সীমান্ত বিষয়ক আলোচনা শুরু হয়েছিল সেই নিয়েও চলছে আলোচনা।

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube