গোবরডাঙায় ৫ হেরিটেজ ঘোষণা

রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন শহর হল উত্তর চব্বিশ পরগনার গোবরডাঙ্গা। আর প্রাচীন শহরের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে এলাকার বেশ কিছু স্মৃতি, সৌধ ও প্রাচীন নির্মাণ । তবে দশকের পর দশক ধরে একইভাবে পড়ে থাকায় অনেক ইতিহাস মুছে যেতে বসেছিল ।

সম্প্রতি গোবরডাঙা শহরের ইতিহাস বিজড়িত বেশ কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে পাঁচটি বিষয়কে বেছে নিয়ে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে হেরিটেজ কমিটি । আপাতত হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে গোবরডাঙা খাঁটুরা উচ্চ বিদ্যালয়, চন্ডীতলা জোড়া শিব মন্দির, গোবরডাঙা প্রসন্নময়ী কালী মন্দির, নহবত খানা ও সিংহ দুয়ার ।

গোবরডাঙ্গা শহরের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যালয় হল গোবরডাঙা খাঁটুরা উচ্চ বিদ্যালয় । ১৮৫৬ সালে ওই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় । বর্তমানে তা ১৬৮ বছরে পড়ল । এই বিদ্যালয় তৈরিতে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সারদা প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও তার সঙ্গে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন এলাকারই বাসিন্দা বিনোদিনী দাসী ।

চন্ডীতলার জোড়া শিব মন্দির তৈরি করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহযোগী, প্রথম বিধবা বিবাহ যিনি করেছিলেন সেই শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন । তার মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে গোবরডাঙা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এই মন্দির ও তৎসংলগ্ন বাওড়ের ঘাট তৈরি করেছিলেন তিনি । জোরা শীব মন্দিরের স্বাস্থ্য কিছুটা খারাপ হলে হাত বদল হয় । বর্তমান জমির মালিক তা কিছুটা সংস্কার করেছিলেন । তবে জরাজীর্ণ হয়ে ঘাটের যা অবস্থা সেখান থেকে আর কেউ স্নান করতে নামতে পারে না । শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ছিলেন বর্তমানে ১৫২ বছরের পুরনো গোবরডাঙ্গা পুরসভার প্রথম মনোনীত চেয়ারম্যান ।

এর পাশাপাশি হেরিটেজ তকমা পেয়েছে গোবরডাঙা প্রসন্নময়ী কালী মন্দির । ১২২৯ বঙ্গাব্দে গোবরডাঙা তৎকালীন জমিদার খেলারাম মুখোপাধ্যায় ও পরবর্তীতে তার ছেলে কালীপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৈরি হয়েছিল গোবরডাঙার প্রসন্নময়ী কালী মন্দির । বর্তমানে এই মন্দির ২০১ বছরে পড়ল ।

প্রসন্নময়ী কালী মন্দিরে প্রবেশ পথের ঠিক ডানদিকে গা-ঘেষে একই সময় তৈরি হয়েছিল নহবতখানা, এক সময় দুরদুরান্ত থেকে বাদ্যকার ও শিল্পীরা এসে নহবতখানায় আশ্রয় নিতেন ও অনুষ্ঠানে গান বাজনা করতেন । এই নহবতখানাটিও স্থান পেয়েছে হেরিটেজ কমিটির তালিকায় । হেরিটেজ কমিটির তালিকায় রয়েছে গোবরডাঙার আরো একটি প্রাচীন নিদর্শন । ইংরেজ আমলে গোবরডাঙা জমিদার বাড়ির মূল ভবনের ঠিক সামনেই রয়েছে এই সিংহ দুয়ার । তবে মূল ভবনটি সেখানে আর নেই । দুদিকে সিংহ দেওয়া স্তম্ভ এখনো সেই ইতিহাস বহন করে চলেছে ।

নিউজ টাইম চ্যানেলের খবরটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube