
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে ভারত-চিন উভয়ের সঙ্গেই কথা বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার ওকলাহোমায় নির্বাচনী জনসভা শেষে জানালেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “খুব গম্ভীর পরিস্থিতি। আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি, চিনের সঙ্গে কথা বলছি। ওদের মধ্যে বড় সমস্যা দেখা গিয়েছে।” জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন পরবর্তী সময়ে এটাই রিপাবলিকানদের তরফে ক্যাম্পের প্রথম নির্বাচনী জনসভা। তিনি বলেছেন, “ওরা সংঘাতে জড়িয়েছে, আমরা দেখবো কী ঘটে। আমরা চেষ্টা করবো আর ওদের সাহায্য করবে।”
সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরে ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘটনায় চিনের আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছে। ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। এর আগে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও খানিকটা অভিযোগের সুরে বলেছেন, “পিএলএ ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে । ওরা দক্ষিণ চিন সাগরেও সামরিক শক্তি প্রয়োগ করছে। গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ দখলের চেষ্টা করছে।” সোমবার লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন ভারতীয় সেনা। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই শুক্রবার এক সর্বদল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে বিরোধী দলগুলোর সামনে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”ভারতীয় সীমান্তের ভিতরে কেউ ঢুকতে পারেনি, কোনও পোস্টও দখল করতে পারেনি তারা”। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি-তে চিন যেভাবে আচরণ করেছে তাতে গোটা দেশ যে আহত ও ক্ষুব্ধ, একথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি। যে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন তাঁদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারত মাতার দিকে যারা নজর দিয়েছিল তাদের শিক্ষা দিয়ে তবেই আমাদের ২০ জন বীর জওয়ান লাদাখে শহিদ হয়েছিলেন, তার আগে নয়”। সর্বদলীয় বৈঠকে অবশ্য সব বিরোধী দলের নেতাদেরই চিনা আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় সরকারের সঙ্গে একমত হন।Latest posts by new_author (see all)
- লকআপ থেকে উধাও বন্দী - January 8, 2023
- নতুন বছরে সিদ্ধি বিনায়কে ভিকি-ক্যাটরিনা - January 6, 2023
- মেসির সংসার, হাতে বিশ্বকাপ, পাশে ১০ নম্বর জার্সিতে পরিবার - December 19, 2022