
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : দেশব্যাপী আনলক চললেও, কয়েকটি রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাংলায়। তাই সংক্রমণ চেন ভাঙতে পুরসভাভিত্তিক ও সপ্তাহে দু’দিন লকডাউন বিধি লাগু করেছে নবান্ন। আগামি মাসেও সাতদিন কড়া লকডাউন। এই টানাপোড়েনে চরম ক্ষতির মুখে কুমোরটুলি। একে কমেছে পুজোর বাজেট সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে বরাত। প্রতি বছর প্রায় ছোট-বড় মিলিয়ে তিন হাজার প্রতিমা বানান মৃৎশিল্পীরা। প্রায় দু’শো পরিবার নির্ভরশীল। চারদিন পুজোর জন্য মৃৎশিল্পী সংগঠনের মোট আয় ৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু এবছর বাজারে মন্দা। তাই মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের। হাতে কাজ না থাকায় গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন কারিগররা। যদিও পুজোর এখনও ৮৪ দিন বাকি। তাও অনিশ্চয়তা কুমোরপাড়ায়।
এদিকে, বড় পুজোকমিটি গুলোর দাবি, ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। বাজেটে টান। সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি পালন করতেই হবে। তাই বড় জমায়েত এড়াতে ছোট করে পুজোর আয়োজন। জানা গিয়েছে, একচালা পুজোর দিকে ঝুঁকছে বেশিরভাগ পুজোকমিটি। তারা বলেছে, প্যান্ডেলে প্রতিবার ৫০ জন দর্শনার্থী, স্যানিটাইজিং ও থার্মাল গানের ব্যবস্থা থাকছে। যদিও সরকারি তরফে কোনও ঘোষণা হয়নি। কিন্ত সাম্প্রতিক এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “প্রতিমার উচ্চতা নির্ধারণ করে সোশাল দূরত্ব বজায় রেখে কীভাবে পুজো আয়োজন সম্ভব, সেটা খতিয়ে দেখুক কমিটিগুলো।” এদিকে, মৃৎশিল্পী গৌরাঙ্গ পাল বলেছেন, “প্রতিবছর আমি ২৫টি প্রতিমা বানাই। এবার বানাচ্ছি মাত্র দু’টো। তাও নিশ্চিত কেউ বরাত দেয়নি।” অপর প্রতিমাশিল্পী সৌমেন পাল বলেছেন, “কবে লকডাউন উঠবে কেউ জানেনা। প্রতিমাশিল্পীদের অবস্থা সঙ্গীন। পুজোকমিটিও অন্ধকারে।”Latest posts by new_author (see all)
- লকআপ থেকে উধাও বন্দী - January 8, 2023
- নতুন বছরে সিদ্ধি বিনায়কে ভিকি-ক্যাটরিনা - January 6, 2023
- মেসির সংসার, হাতে বিশ্বকাপ, পাশে ১০ নম্বর জার্সিতে পরিবার - December 19, 2022