
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : চিকিৎসক কাফিল খানের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে করা মামলা খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে পড়ুয়াদের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন চিকিৎসক কাফিল খান। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে মথুরা জেলে বন্দি রাখা হয়েছে তাঁকে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর ও বিচারপতি সৌমিত্র দয়াল সিং কাফিল খানের মায়ের দায়ের করা হেবিয়াস কর্পাস মামলার শুনানিতে এদিন বলেছেন, চিকিৎসকের বক্তৃতায় কোনও ঘৃণা বা হিংসা ছিল না। তিনি কেবল নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। আবেদনে খানের মা নুজহাট পারভিন জানান, তাঁর ছেলের জামিন ফেব্রুয়ারিতেই মঞ্জুর হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশের চারদিন পরও খানকে মুক্ত করা হয়নি। তারপরই কাফিল খানের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটাই বেআইনী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন জ্বলেছিল আলিগড় মুসলিম বিদ্যালয়ে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন আলিগড়ের পড়ুয়ারা। বিক্ষোভকারী পড়ুয়া ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলেজ চত্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে জমায়েত হওয়া কয়েকশো প্রতিবাদী ছাত্রের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। চালানো হয় জলকামান। আটক করা হয় কয়েকশ বিক্ষোভকারী পড়ুয়াকে। অভিযোগ, এই বিক্ষোভের সময় সেখানে হাজির ছিলেন চিকিৎসক কাফিল খান। ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। তারপরই কাফিল খানের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়।Latest posts by new_author (see all)
- লকআপ থেকে উধাও বন্দী - January 8, 2023
- নতুন বছরে সিদ্ধি বিনায়কে ভিকি-ক্যাটরিনা - January 6, 2023
- মেসির সংসার, হাতে বিশ্বকাপ, পাশে ১০ নম্বর জার্সিতে পরিবার - December 19, 2022