
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : করোনাভাইরাসের দাপটে পাঁচ মাসের বেশি বন্ধ। তাই এবার শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার। এক সংবাদমাধ্যমে একথা জানানো হয়েছে।
গত মার্চ থেকে রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ। গরমের ছুটি বাদ দিলে চার মাসের মতো পঠনপাঠন ব্যাহত হয়েছে। অনলাইন ক্লাস চললেও অনেক পড়ুয়াই প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়ছেন বলে ধারণা শিক্ষা মহলের একাংশের। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, তার জেরে পাঠ্যক্রম কমিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। কিন্তু তাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের সমস্যায় পড়তে হবে। পরে উচ্চশিক্ষার সময় সেই সমস্যা আরও প্রকট হবে। তাই বিকল্প হিসেবে এবার শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা ভাবনাচিন্তা করছেন বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে। কিন্তু কেন শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে দেওয়ার আলোচনা করা হচ্ছে? রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের তরফে স্কুল খোলার বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিন্তু উর্ধ্বমুখী করোনা আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে স্কুল খোলার সম্ভাবনা কার্যত নেই। চতুর্থ পর্যায়ের আনলকে (১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে পারে) স্কুল খোলার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়ার সম্ভাবনাও কার্যত নেই বলে সোমবারই সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। অক্টোবরে করোনা পরিস্থিতি কী হবে, তা স্পষ্ট নয়। সেজন্য বিকল্প হিসেবে শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা, তা আলোচনা টেবিলে উঠে এসেছে। তবে শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সিবিএসই-সহ অন্য়ান্য সর্বভারতীয় বোর্ডের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। সিবিএসই ইতিমধ্যে পাঠ্যক্রম কাটছাঁটের পথে হেঁটেছে। কিন্তু শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে দেওয়া হয়নি। স্কুল শিক্ষা আধিকারিকদের আলোচনায় সেই বিষয়টিও উঠে আসছে বলে ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে জানানো হয়েছে।Latest posts by new_author (see all)
- লকআপ থেকে উধাও বন্দী - January 8, 2023
- নতুন বছরে সিদ্ধি বিনায়কে ভিকি-ক্যাটরিনা - January 6, 2023
- মেসির সংসার, হাতে বিশ্বকাপ, পাশে ১০ নম্বর জার্সিতে পরিবার - December 19, 2022