
নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে ২৫ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে লকডাউন। সেই মর্মে প্রতিটি রাজ্যের তরফেও এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। যার ফলস্বরূপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলিও। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন আগামী ১০ জুন রাজ্যের স্কুলগুলি খোলা হবে। কিন্তু করোনার মধ্যেই রাজ্যে এবার নতুন করে ঘূর্ণিঝড় আমফান থাবা বসানোয় স্কুল খোলার নির্দিষ্ট দিন আরও পিছিয়ে দেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার জানান, আপাতত আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলি।
পার্থবাবুর কথায়, “পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন। তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার দরকার। সেই কাজে অনেক স্কুল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তাতে আটটি জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর স্কুল ভেঙে গিয়েছে। ছাদ উড়ে গিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিলের রান্নাঘরও অনেক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত। অন্তত ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।” বিকাশ ভবন থেকে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন সংস্থাকে স্বাগত জানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পুনর্গঠনের জন্য। করোনার জেরে পরীক্ষা চলতে চলতেই স্থগিত করে দেওয়া হয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সম্প্রতি রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ২৯ জুন এবং ২ ও ৬ জুলাই বাতিল পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে। কিন্তু আমফানের জেরে দক্ষিনবঙ্গের প্রায় ৪৬২টি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সমস্ত স্কুলগুলিকে বাতিল করে তারপর পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে অন্য স্কুল ঠিক করা হয়েছে বলে এদিন জানান শিক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেদিন পরীক্ষার দিন স্থির করেছিল সেই মতোই পরীক্ষা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।Latest posts by news_time (see all)
- নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উড়ে গেল গাড়ি, অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটল এরপর - February 9, 2023
- বৃহস্পতিবার শুরু মেগা সিরিজ - February 8, 2023
- কলেজের তিনতলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত ছাত্রী - February 8, 2023