ইডির সঙ্গে মাতৃভাষার লড়াইয়ে অনুব্রত

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে অনুব্রত মণ্ডল। গতকাল থেকে সেখানে কেষ্টকে ম্যারাথন জেরা করছে ইডির ৬ আধিকারিক। কিন্তু কথা বলতে ও লিখতে বেড়াজাল হয়েছে ভাষা। আধিকারিকরা বাংলায় বলতে বা বুঝতে পারবেন না।অন্যদিকে অনুব্রতর কথা, সে বাংলা ছাড়া অন্য ভাষা জানে না। তাই অনুব্রতর জন্য দুই স্থানীয় আধিকারিককে রাখা হয়েছে। তারাই বাংলায়-হিন্দিতে প্রশ্নোত্তরের আদান-প্রদান করছেন।

জবানবন্দি লেখার ক্ষেত্রেও সেই একই সমস্যা। নিয়ম অনুযায়ী, ইডি কাউকে জেরা করলে যে প্রশ্ন করবেন, সেই উত্তর স্বহস্তে লিখতে হবে কাগজে। আদালতে যাতে জোর করে জবানবন্দি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে সেই কারণেই এই নিয়ম। কিন্তু অনুব্রত সাফ বললেন, সে লিখতে জানেন না। কেবল সই করতে জানেন।

অনুব্রতর বিদ্যে ক্লাস এইট পর্যন্ত। তারপর কর্মসংস্থানের খোঁজে কখনও মুদির দোকান, কখনও মাছের ব্যবসা করেছেন তিনি। এই কাজে খুব একটা লেখালেখির প্রয়োজন হয়নি। এরপর রাজনীতির ময়দানে নেমে বীরভূমের বেতাজ বাদশা হয়েছেন অনুব্রত। কিন্তু রাজনীতির কাজেও লেখালেখি বলতে, সই করেছেন মাত্র।অর্থাৎ লেখার চর্চা তাঁর নেই বললেই চলে।

ইডির আধিকারিকরা শেষ পর্যন্ত বৈঠক করে অনুব্রতর জন্য নিরপেক্ষ রাইটার নিয়ে আসেন। ইডির প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত জবাব দিচ্ছেন। কানে শুনে সেই জবাব সাদা কাগজে লিখছেন রাইটার। লেখা শেষে তা পড়ে শোনানো হচ্ছে কেষ্টকে। সব ঠিক থাকলে কেষ্ট তাতে সই করে দিচ্ছেন।

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube