আমফান থেকে বাঁচাতে এসে করোনায় আক্রান্ত এনডিআরএফ-এর ৪৯ জন

নিউজটাইম ওয়েবডেস্ক : দেশে যে এখনও করোনার দাপট এবং বিপর্যয় দুইই অব্যাহত। এরই মাঝে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)-এর ৪৯ জনের দেহে পাওয়া গেল করোনাভাইরাস। ঘূর্ণিঝড় আমফান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন তাঁরা। সেই লড়াইয়ের কঠিন সময়ের পর তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হলে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা যায় তাঁদের শরীরে।

সোমবার রাতে এনডিআরএফ-এর ডিজি এস এন প্রধান একটি টুইট করে জানান, “অনুসন্ধান করে দেখা গিয়েছে যে সাইক্লোন আমফান উদ্ধারকাজে যাওয়া ৫০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ওড়িশায় ফিরে আসার পর তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হলে এই রিপোর্ট পাওয়া যায়। ১৯০ জনেরই করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। বাকিরা সুস্থ আছে।”

যদিও সূত্রের খবর সংখ্যাটি ৪৯ হবে। তবে এনডিআরএফ-এ এই প্রথম এতজন একসঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন সিআরপিএফ-এর কর্মীরা। সংখ্যা প্রায় ১৫০০ ছুঁয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এদের মধ্যে বিএসএফ কর্মীদের সুস্থতার হার বেশি। ৫৩৫ জন বিএসএফ কর্মী আক্রান্ত হলেও ১০৮ জন এখন চিকিৎসাধীন।

এক বিএসএফ অফিসার বলেন, “যতটা দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল, তত দ্রুত গতিতে এগিয়েছে সুস্থতার হার। কিন্তু লকডাউনের নিয়ম শিথিল হতে আবার বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর কারণ এতদিন ছুটিতে থাকা কর্মীরা তাঁদের রাজ্য থেকে ফিরতে শুরু করেছেন।

অপরদিকে,লকডাউন শিথিল হতেই দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ আরও বাড়তে চলেছে। পরিসংখ্যানের বিচারে দেশের ২৪ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের চেয়েও বেশি। বিগত কয়েকদিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। গত তিনদিনে একই হার উত্তরপ্রদেশের। আসাম-ত্রিপুরাতেও ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে সংক্রমণ। দেশের প্রথম দশ করোনা আক্রান্ত রাজ্যের তালিকায় ঢুকে পড়েছে কর্নাটক। বাংলা, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড় ও কেরালেও কোভিড বৃদ্ধির হার বেশি।পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট করোনা আক্রান্তের নিরিখে প্রথম তিন রাজ্য মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও রাজস্থানে বৃদ্ধির প্রকোপ সামান্য হারে কমছে।কিন্তু, দিল্লি ও তামিলনাড়ুতে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এই পরিসংখ্যান বেশিদিন ধরে রাখা সম্ভব আগে ভারতের মোট আক্রান্তের ৭৪ শতাংশই ছিল এই রাজ্যগুলির। বর্তমানে তা কমে হয়েছে ৬৮ শতাংশ। কিন্তু, সংক্রমণের জাতীয় বৃদ্ধির হার যখন কমছে তখনই লকডাউনের শিথিলের ফলে তা ফের বেড়ে যাবে বলেই আশঙ্কা।

Inform others ?
Share On Youtube
Show Buttons
Share On Youtube
Hide Buttons
Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
Facebook
YouTube